নেপালে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশি অ্যাপ ‘পাঠাও’
বাংলাদেশি রাইড-শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও এখন দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে নেপালের পর্যটননগরী কাঠমান্ডুতে। ২০১৮ সাল থেকে দেশটিতে যাত্রা শুরু করা পাঠাও বর্তমানে নেপালি নাগরিক ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য নির্ভরযোগ্য বাহন সেবাদাতা অ্যাপ হয়ে উঠেছে।
✈️ কাঠমান্ডু পৌঁছেই পাঠাও সেবা
ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুতে পৌঁছেই যাত্রীদের জন্য অন্যতম প্রথম চ্যালেঞ্জ হয় যাতায়াতের উপায় খুঁজে পাওয়া। বিমানবন্দরে ফ্রি ওয়াই-ফাই সংযোগে পাঠাও অ্যাপ চালু করলেই পাওয়া যায় রাইড বুকিংয়ের সুযোগ। কাঠমান্ডুর পার্কিং লটে পাঠাও রাইডার সঞ্জয় সঞ্জু বাইক নিয়ে হাজির। তার মতো অনেকেই এ শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে নাগরকোটের পর্যটন এলাকাতেও পাঠাও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

🛵 পাঠাও এখন কাঠমান্ডুর মানুষের নিত্যসঙ্গী
নেপালের ব্যস্ত রাস্তায় এখন মোটরবাইক, ট্যাক্সি, ফুড ডেলিভারি এবং পার্সেল সার্ভিসেও পাঠাওয়ের উপস্থিতি। রাইডার সঞ্জয় বলেন,
“আমি প্রতিদিন গড়ে ১০০০–১৫০০ নেপালি রুপি আয় করি। বিশেষ করে পর্যটকরা নিয়মিত পাঠাও ব্যবহার করেন।”
আরেক রাইডার পূর্ণ লামা, যিনি নাগরকোট এলাকায় থাকেন, জানান:
“পাঠাও শুধু গন্তব্যে পৌঁছানোর মাধ্যম নয়, এটা এখন পর্যটকদের গাইড হিসেবেও কাজ করে।”
🆚 অন্যান্য অ্যাপের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পাঠাও
নেপালে পাঠাওয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছে InDrive, ZoomZoom, Sajilo-র মতো আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অ্যাপগুলো। তবে সাশ্রয়ী ভাড়া, ব্যবহারবান্ধব ইন্টারফেস ও নির্ভরযোগ্যতা পাঠাওকে এগিয়ে রেখেছে।
🧑💼 বাংলাদেশের গর্ব: পাঠাওয়ের আন্তর্জাতিক সাফল্য
বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন,
“যখন দেখি বাংলাদেশের কোনো স্টার্টআপ অন্য দেশে সফল হচ্ছে, তখন গর্ব হয়। তবে স্থানীয় সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।”
পাঠাওয়ের সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন,
“আমাদের শুরুটা ছিল দেশীয় সমস্যা সমাধান দিয়ে। আজ আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। নেপালের মতো পর্যটননির্ভর দেশে পাঠাও ব্যবহার হচ্ছে—এটা বাংলাদেশের উদ্ভাবনী শক্তিরই প্রমাণ।”
✅ কেন নেপালে পাঠাও জনপ্রিয়?
সহজ রেজিস্ট্রেশন ও ব্যবহারযোগ্যতা
পর্যটকদের জন্য নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক
মোটরবাইক, কার, ফুড ও পার্সেল ডেলিভারি সেবা
স্থানীয় চালক এবং পর্যাপ্ত ভেহিকেল
