ঘরের মাঠে পাঞ্জাবকে ৫০ রানে হারালেন সঞ্জু সামশন এর রাজস্থান
আইপিএলের এই আসরে সাধারণত প্রথমে ব্যাট করা দল জিততে পারছিল না। তবে শনিবার দুটো ম্যাচেই প্রথমে ব্যাট করা দল জিতেছে। দিনের প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালস জেতার পর রাতের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস পাঞ্জাব কিংসকে ৫০ রানে হারিয়েছে। এই প্রথমবার সঞ্জু স্যামসন রাজস্থানের অধিনায়ক হয়েই প্রথম ম্যাচ জিতলেন। অন্যদিকে, শ্রেয়স আইয়ারের দল প্রথম দুটো ম্যাচ জিতলেও নিজেদের মাঠে হেরে গেল।

চণ্ডীগড়ের মাঠে টস জিতে শ্রেয়স প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। রাজস্থানের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও সঞ্জু স্যামসন শুরুটা ভালো করেন। প্রথম পাওয়ার প্লেতে তারা কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৩ রান তোলেন। সঞ্জু শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলছিলেন।
আইপিএলে ধোনিকে কেন দরকার, জানালেন গেইল
কিছুক্ষণ পর যশস্বীও সাবলীলভাবে খেলতে শুরু করেন। তবে সঞ্জু ৩৮ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর তিনে নেমে রিয়ান পরাগ দ্রুত রান তুলতে থাকেন। যশস্বীও হাফ সেঞ্চুরি করেন, যদিও এটি তার সবচেয়ে ধীরগতির হাফ সেঞ্চুরি ছিল। ৬৭ রানে যশস্বীও আউট হন।
শেষের দিকে রিয়ান পরাগ ও শিমরন হেটমেয়ার বড় শট খেলার চেষ্টা করেন। পাঞ্জাবের ফিল্ডিং দুর্বল থাকায় রাজস্থান সুবিধা পায়। শেষ পর্যন্ত রাজস্থান ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে। পরাগ ৪৩ রানে অপরাজিত থাকেন। চণ্ডীগড়ের মাঠে এটাই কোনো দলের সর্বোচ্চ রান।

২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব প্রথম বলেই উইকেট হারায়। জফ্রা আর্চারের বলে প্রিয়াংশ আর্য বোল্ড হন। এরপর শ্রেয়স আইয়ারও ভালো শুরু করেও আর্চারের বলেই আউট হন। পাঞ্জাবের টপ অর্ডার দ্রুত ভেঙে পড়ে। ৪৩ রানেই তাদের ৪ উইকেট চলে যায়।
পাঁচ নম্বরে নেমে নেহাল ওয়াধেরা কিছু ভালো শট খেলেন এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সাথে জুটি গড়েন। তারা দুজন মিলে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। ওয়াধেরা হাফ সেঞ্চুরি করেন। তবে ম্যাক্সওয়েল ৩০ রান করে আউট হয়ে গেলে পাঞ্জাবের আশা কমে যায়।
শেষ পাঁচ ওভারে পাঞ্জাবের জেতার জন্য ৭৫ রান দরকার ছিল। ১৬তম ওভারের প্রথম বলেই ওয়াধেরা আউট হন (৬২ রান)। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাবের ইনিংস ১৫৫ রানে শেষ হয়। রাজস্থান রয়্যালস ৫০ রানে ম্যাচটি জিতে নেয়।
