তাসকিন আহমেদ নেতৃত্বের কতটা প্রস্তুত তিনি
প্রশ্নটা কানে যেতে মৃদু হাসলেন তাসকিন আহমেদ। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধিনায়কের সংক্ষিপ্ত তালিকায় কি এই ডানহাতি পেসারের নাম ছিল? সাকিব আল হাসান নেতৃত্ব ছাড়তে চাওয়ায় তিন সংস্করণের জন্য নতুন অধিনায়ক খুঁজছিল বিসিবি। তখন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, অনুশীলন শেষে ওখান দিয়ে যাচ্ছিলেন তাসকিন এবং প্রশ্নটি শুনতে পান।

মুচকি হেসে সেদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে নিজের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন তাসকিন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য সিংগাপুর যাচ্ছেন তামিম ইকবাল
তবে সে সময় বিসিবির ভাবনায় তাসকিন ছিলেন না। অধিনায়কের জন্য যে চারজনের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, সেখানে এই পেসারের নাম ছিল না। কিন্তু দেড় বছরের মধ্যে বোর্ডের পরিকল্পনায় পরিবর্তন এসেছে।
অধিনায়কত্বের আলোচনায় এখন শক্ত অবস্থানে তাসকিন। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর নাজমুল হোসেন তিন সংস্করণের নেতৃত্ব পান। তবে এই বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়তে চাওয়ায় তাসকিনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
কিন্তু এই দায়িত্ব সামলাতে কতটা প্রস্তুত তিনি?
২০২৪ বিপিএল চলাকালীন তাসকিন বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই (স্বপ্ন আছে)। কেন নয়? সব খেলোয়াড়েরই এই (নেতৃত্ব দেওয়ার) স্বপ্ন থাকে। ধাপে ধাপে সব কিছুই হবে একসময়।’ তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তার অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা খুব বেশি নেই। এবারের বিপিএলে তার দল ঢাকা ক্যাপিটালস ভালো ফল করতে পারেনি। গতবারও মাঝপথে নেতৃত্ব পেলেও দলকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এনে দিতে পারেননি তিনি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ইতিহাসে পেসারদের অধিনায়ক হওয়ার উদাহরণ খুব বেশি নেই। মাশরাফি বিন মর্তুজা ছিলেন ব্যতিক্রম। খালেদ মাহমুদ সুজনও নেতৃত্ব দিয়েছেন, তবে তিনি মূলত অলরাউন্ডার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।
তবে গতকাল খালেদ মাহমুদ স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘পেস বোলার হলেই অধিনায়কত্ব করতে পারবে না—কথাটা একদমই ঠিক নয়। এটা বোর্ডের ব্যাপার। পেস বোলার অধিনায়কত্ব করতে পারবে না—এটা ভুল কথা। অধিনায়কত্বের জ্ঞান আছে কি না এটা গুরুত্বপূর্ণ।’ একই সাথে তিনি লিটন দাসের কথাও উল্লেখ করেন, ‘এত বছর ধরে ক্রিকেট খেলছে, লিটন বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করেছে। সুতরাং ওর মধ্যে যে সামর্থ্য আছে, সেটি তো আমরা জানি।’

লিটন দাস যদি নিয়মিত ভালো পারফর্ম করতেন, তাহলে তাসকিন হয়তো অধিনায়কত্বের আলোচনায় এত বেশি prominence পেতেন না। তবে তাসকিনের ব্যক্তিগত উন্নতি তাকে আলোচনায় এনেছে। এই আলোচনার ফল যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে তাসকিন আহমেদকে নেতৃত্বের ভার বহন, সতীর্থদের ওপর কর্তৃত্ব স্থাপন, মাঠে দ্রুত ও বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং চাপের পরিস্থিতি সামলানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
