পাকিস্তান দল কীভাবে জানে বাংলাদেশের কন্ডিশন?
বাংলাদেশের মাঠে দীর্ঘ চার বছর পর টি–টোয়েন্টি খেলতে এসেছে পাকিস্তান জাতীয় দল। এ সময়ে অনেক কিছু বদলেছে। এখনকার পাকিস্তান দলে নেই চার বছর আগের বেশিরভাগ খেলোয়াড়। বর্তমান টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক সালমান আগা সেই সময় স্কোয়াডেই ছিলেন না। শুধু খুশদিল শাহ ও মোহাম্মদ নওয়াজ ছিলেন আগের সিরিজে।

তবুও, বাংলাদেশি কন্ডিশন নিয়ে পাকিস্তান দল বেশ আত্মবিশ্বাসী। কারণ? বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)–এ অংশ নেওয়া পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা।
🔍 বিপিএল অভিজ্ঞতায় পাকিস্তানের প্রস্তুতি
পাকিস্তানের বর্তমান স্কোয়াডে থাকা ১৬ জন ক্রিকেটারের মধ্যে ৯ জনই বিপিএলে খেলেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন:
- ফখর জামান
- মোহাম্মদ হারিস
- সাইম আইয়ুব
- ফাহিম আশরাফ
- হোসেন তালাত
- খুশদিল শাহ
- মোহাম্মদ নওয়াজ
- আব্বাস আফ্রিদি
- আবরার আহমেদ
এছাড়া দলের ফিল্ডিং কোচ শন ম্যাকডরমট ২০২২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ ছিলেন। তিনি বাংলাদেশি খেলোয়াড় ও উইকেট সম্পর্কে ভালোই জানেন।
সালমান আগা সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘দলের অনেকেই বিপিএলে খেলে বাংলাদেশের মাঠ ও কন্ডিশনের সঙ্গে পরিচিত। তাদের ইনপুট আমাদের প্রস্তুতিতে বড় ভূমিকা রাখছে।’
🔄 পরিবর্তন এসেছে পাকিস্তানের টি–টোয়েন্টি স্টাইলে
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান দলে বড় পরিবর্তন এসেছে। দলে নেই বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান—দুই তারকাই গত বছর ডিসেম্বরের পর থেকে টি–টোয়েন্টিতে অনুপস্থিত। এ প্রসঙ্গে সালমান বলেন:
‘বাবর–রিজওয়ান পাকিস্তানের জন্য দারুণ পারফর্ম করেছে। তবে টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট দ্রুত বদলে যাচ্ছে। এখন আমাদের দলে যারা আছে, তারা অনেক বেশি অ্যাগ্রেসিভ এবং এক্সাইটিং।’
🌦️ মিরপুরের উইকেট ও কন্ডিশন নিয়ে চিন্তা?
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বৃষ্টি ও কন্ডিশনের কারণে উইকেট নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। তবে সালমান আগা জানান, পরিস্থিতি অনুযায়ী তারা নিজেদের পরিকল্পনা সাজাবেন।
‘আমরা এখন অ্যাগ্রেসিভ ক্রিকেট খেলতে চাই। তবে উইকেট যদি কঠিন হয়, তাহলে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের লক্ষ্য হবে গড় স্কোরের চেয়ে ১০–১৫ রান বেশি তোলা এবং বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে গড়ের নিচে আটকে রাখা।’
📅 সিরিজ সূচি:
- প্রথম টি–টোয়েন্টি: ২০ জুলাই
- দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি: ২২ জুলাই
- তৃতীয় টি–টোয়েন্টি: ২৪ জুলাই
- স্থান: মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম