ফুটবল

অবিশ্বাস্য গোলে লিগ শিরোপা নাপোলির

অবিশ্বাস্য গোলে লিগ শিরোপা নাপোলির

অবিশ্বাস্য গোলে লিগ শিরোপা নাপোলির

ডিয়েগো ম্যারাডোনার পর, ২০২২-২৩ মৌসুমে লুসিয়ানো স্পালেত্তির অধীনে ৩৩ বছর পর তৃতীয় সিরি আ শিরোপা জিতেছিল নাপোলি। এর মাত্র এক মৌসুম পরেই, এবার নাটকীয়ভাবে আবারও লিগ জিতল ক্লাবটি।

এই মৌসুমে ইতালির শীর্ষ লিগে কোনো দলেরই নিরঙ্কুশ আধিপত্য ছিল না। শুরুতে নাপোলি, আতালান্তা এবং ইন্টার মিলান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিল। একসময় আতালান্তা এগিয়ে থাকলেও পরে পথ হারায়। শেষ পর্যন্ত লড়াইটা ইন্টার মিলান ও নাপোলির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে, এবং তাদের পয়েন্ট ব্যবধানও ছিল খুব কম।

গতকাল রাতে যখন দুটি দল তাদের শেষ লিগ ম্যাচ খেলতে নামে, তাদের মধ্যে মাত্র ১ পয়েন্টের ব্যবধান ছিল। নাপোলি জিতলে তারাই চ্যাম্পিয়ন হতো, আর ইন্টারকে টানা দ্বিতীয় শিরোপা না জেতার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হতো। শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে।

অবিশ্বাস্য গোলে লিগ শিরোপা নাপোলির
অবিশ্বাস্য গোলে লিগ শিরোপা নাপোলির

ইন্টার মিলান কোমোকে ২-০ গোলে হারালেও, নাপোলিও কালিয়ারির বিপক্ষে ডিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে ২-০ গোলে জিতেছে। এর ফলে ৩৮ ম্যাচের মৌসুম শেষে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে নাপোলি শীর্ষে এবং ৮১ পয়েন্ট নিয়ে ইন্টার দ্বিতীয় স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছে।

নাপোলির শিরোপা জয়ের পরপরই স্টেডিয়াম এবং নেপলস শহর উল্লাসে ফেটে পড়ে। খেলোয়াড়েরা মাঠে এবং সমর্থকেরা শহরজুড়ে উদযাপন করেছেন। তিন মৌসুমের মধ্যে এটি তাদের দ্বিতীয় শিরোপা, যা নাপোলির কোচ আন্তোনিও কন্তের জন্যও বিশেষ কিছু।

আন্তোনিও কন্তে প্রথম কোচ হিসেবে ভিন্ন তিনটি ক্লাবের হয়ে ইতালিয়ান শীর্ষ লিগের শিরোপা জিতলেন। তিনি ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ মৌসুমে জুভেন্টাস, ২০২০-২১ মৌসুমে ইন্টার মিলান, এবং এবার নাপোলির হয়ে শিরোপা জিতলেন।

এই মৌসুমে নাপোলির লিগ জয়ে রোমেলু লুকাকু এবং স্কট ম্যাকটমিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বেলজিয়ান স্ট্রাইকার লুকাকু দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪ গোল করেছেন এবং ১০টি গোলে সহায়তা করেছেন। ম্যাকটমিনে ১২ গোল এবং ৭টি গোলে সহায়তা করেছেন। এমনকি ম্যাকটমিনে সিরি আ-তে মৌসুমসেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছেন।

গতকাল রাতের শেষ ম্যাচেও লুকাকু ও ম্যাকটমিনে দলের নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন। নাপোলি যখন চাপে ছিল, তখন ৪২ মিনিটে মাতেও পলিতানোর ক্রস থেকে দারুণ এক বাইসাইকেল কিকে গোল করে ম্যাকটমিনে দলকে এগিয়ে দেন। এরপর বিরতির পর দ্বিতীয় গোলটি করেন লুকাকু, প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে একক প্রচেষ্টায় গোল করেন। এই দুটি গোলই ম্যাচের এবং লিগের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।

Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

জনপ্রিয় ফিচার

To Top