আইপিএল আয়োজন করতে চায় ইংল্যান্ড!
ভারত যদি চায়, তাহলে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) স্থগিত হওয়া আইপিএলের বাকি খেলাগুলো তাদের দেশে আয়োজন করতে রাজি আছে।
যুক্তরাজ্যের একটি পত্রিকা ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, ইসিবির প্রধান কর্মকর্তা রিচার্ড গোল্ড এই বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সাথে কথা বলেছেন এবং সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে শুক্রবার আইপিএলের ১৮তম আসর এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু দেশি ও বিদেশি খেলোয়াড়দের সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই খুব তাড়াতাড়ি এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম। ইসিবি জানিয়েছে, ইংল্যান্ডে এই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আইপিএল আয়োজন করা যেতে পারে।

কিছুদিন আগে কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুক হামলার ঘটনায় ভারত পাকিস্তানকে দোষারোপ করে। এরপর ভারত পাকিস্তানে কয়েকবার হামলা চালায়। পাকিস্তানও পাল্টা হামলা করেছে। এই পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে শুক্রবার পাকিস্তানের পিএসএল এবং ভারতের আইপিএল দুটো টুর্নামেন্টই বন্ধ হয়ে যায়।
ছয় দলের পিএসএলে এখনো ৮টি ম্যাচ বাকি এবং দশ দলের আইপিএলে ১৬টি ম্যাচ বাকি আছে। এক সপ্তাহের জন্য টুর্নামেন্ট স্থগিত করার পর বিসিসিআই দলগুলোকে বাড়ি যেতে বলেছে। এরই মধ্যে বিদেশি খেলোয়াড়রা ভারত ছাড়তে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহ পরেই আইপিএল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। আর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে উত্তেজনার কারণে টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়েছে, সেটি কবে থামবে তাও এখনো বোঝা যাচ্ছে না।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ইসিবির প্রধান কর্মকর্তা বিসিসিআইকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন। ভারত যদি এক সপ্তাহ পর আইপিএল শুরু করতে না পারে, তাহলে ইংল্যান্ড বছরের শেষের দিকে সেই খেলাগুলো আয়োজন করতে আগ্রহী। ইসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্ভবত সেপ্টেম্বর মাসে এটি আয়োজন করা যেতে পারে। তবে সূত্রটি আরও জানিয়েছে যে, এই মুহূর্তে যুক্তরাজ্যে আইপিএল আয়োজন নিয়ে কোনো ‘সক্রিয় আলোচনা’ চলছে না।
এর আগেও ২০২১ সালে যখন ভারতে করোনার কারণে আইপিএল স্থগিত হয়ে গিয়েছিল, তখন ইসিবি একই প্রস্তাব দিয়েছিল। সেবার অবশ্য আইপিএলের বাকি খেলাগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
